ঝিনাইদহের মহেশপুরে পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানির বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। আর এ নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে। কাজের শুরুতেই প্রকল্পের স্থানে বালু দিয়ে ভরাটের নির্দেশনা থাকলেও ভরাট করা হচ্ছে মাটি দিয়ে।
এমনকি উক্ত স্থান থেকে স্কেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে,সেই গর্ত আবার বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে। এ যেন নিজের ঘরেই চুরি। ঠিকারিদারি প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো স্থানীয়রা হতবাক।
স্থানীয়রা বলেন, পৌর-এলাকার পাতিবিলা গ্রামের মাঠে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণের স্থান ভরাটের কাজ করছে। কিন্তু সে বালু দিয়ে ভরাট না করে মাটি দিয়ে ভরাট করছে।
আবার সেখান থেকে সারা রাত স্কেভেটর দিয়ে বালু উঠিয়ে পাশে স্তূপ করে রেখে সেই গর্ত ভরাট করছে মাটি দিয়ে। উঠিয়ে রাখা বালু মাটির উপর ছিটিয়ে দিয়ে বালু দিয়ে জায়গা ভরাট করার দৃশ্যটা দৃশ্যমান করছে। তারা আরও বলের ক্ষমতা আর প্রশাসন তাদের হাতের মুঠোয় থাকার কারণে এমন নয়-ছয় করতে সাহস পাচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোবাশ্বের আহসান বলেন, মাটি দিয়ে ভরাটের অনুমতি আছে, সে কারণে মাটি দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু না পাওয়ার কারণে বালু উঠিয়ে বালু আর মাটি মিশিয়ে ভরাটের কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মাসুদুর রহমান বলেন, বালুর বদলে মাটি দিয়ে ভরাটের কোন সুযোগ নেই। বালুই ব্যবহার করতে হবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ না প্রকাশের অনুরোধ জানান।
আরএস