বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ।
এ ঘটনায় সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারের।
শনিবার সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ডিবিকে করিম খান জানায়, মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতের নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আ. মালেক নিহত সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয় নাই। আমি যেন ভারতে পালিয়ে যাই।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইএইচ