ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর মেয়াদোত্তীর্ণ নড়বড়ে পাটেশ্বরী রেল সেতু দিয়ে দশ টনের অধিক মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সেতু দিয়ে দ্বিগুণ মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচল করছে। যদিও সেতুর সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ টনের অধিক মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচল নিষেধ সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। অধিক মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুটিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ মালামাল বোঝাই যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করায় প্রায়ই সেতুটির স্টিলের পাটাতন ভেঙে যায়। এতে সেতুর দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মেয়াদোত্তীর্ণ নড়বড়ে সেতুটি ভেঙে গেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বন্ধ হয়ে যাবে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম।

স্থানীয়রা জানান, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকায় দুধকুমার নদের ওপর ১৮৮৭ সালের দিকে ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পাটেশ্বরী রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতু আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছিল ১০০ বছর যা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পথচারী বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে আসা পাথর বোঝাই ট্রাক সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি থরথর করে কাঁপে। পাথরসহ একেকটি ট্রাকের ওজন ৩০ থেকে ৩২ টন। অধিক মালামাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে যেকোনো সময় সেতুর পাটাতন ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কয়েকজন ট্রাক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ ট্রাকের আকার ভেদে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ সিএফটি (কিউবিক ফুট বা ঘনফুট) এবং ড্রাম ট্রাকে প্রায় ৫০০ সিএফটি পাথর নেওয়া যায়।

জানা গেছে, এক সিএফটি পাথরের ওজন প্রায় ৫০ কেজি। সে হিসেবে ৫০০ সিএফটি পাথরের ওজন প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ কেজি বা সাড়ে ২৫ টন। ট্রাক চালকদের তথ্যমতে একটি ড্রাম ট্রাকে অনায়াসে ২৫ টন আর সাধারণ ট্রাকে ২০ থেকে ৩০ টন পাথর পরিবহণ করা হয়।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম বলেন, এক সিএফটি পাথরের আনুমানিক ওজন প্রায় ৪০ কেজি। তবে পাথরের আকারের তারতম্যের কারণে কেজির পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।

কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক পুরাতন। অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল করার কারণে মাঝেমধ্যে সেতুর পাটাতন ভেঙে যায়। সেতুর উভয় পাশে ১০ টনের অধিক পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল নিষেধ নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ