কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাওতায় শাহিন হোসেন নামের এক ব্যক্তির খপ্পরে পরে তিন ব্যবসায়ী পথে বসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে প্রতারক শাহিন বাড়ি করার নাম করে ও ব্যবসার কাজে ব্যবহারের জন্য ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানতে পারলে কুমারখালী থানায় প্রতারকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী কুমারখালীর সাওতা ( ঢেকিপাড়া) গ্রামের মিজানুর রহমান শাহিন বলেন, তিনি নুর ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতারক শাহিন হোসেনের সঙ্গে তার অনেক দিনের পরিচয় থাকায় বাড়ি করার নাম করে রড, সিমেন্ট, ইট বাকিতে নিয়ে যায়। যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। এ সময় প্রতারক শাহিন হোসেন তিনটি চেক ও একটি স্ট্যাম্প দেন। চেক তিনটির মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া সিটি ব্যাংক ২ লাখ ৫০ হাজার ও ডাচ বাংলা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখায় ২৫ লাখ । সেই সাথে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পেও স্বাক্ষর করে দেন প্রতারক শাহিন।
পরবর্তীতে শাহিনের কাছে টাকা চাইলে সে আজ দেব কাল দেব বলে ঘুরিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তার আর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও ব্যবসায়ীক কাজের জন্য শাহিন তার গাড়ির ড্রাইভার কুষ্টিয়া শহরতলি শালদহ হরিপুরের আলিমের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। যা আজ পর্যন্ত পরিশোধ করেননি।
অপরদিকে আমদানি রপ্তানি ব্যবসার নাম করে কুমারখালীর লাহিনীপাড়া গ্রামের তিতাস হোসেনের কাছ থেকে কৌশলে ব্যবসায় অনেক লাভ হবে বলে ৬২ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এ সময় তিতাসের সন্দেহ হলে ওই প্রতারক শাহিন কৌশলে ১৫ লাখ টাকার একটি স্ট্যাম্প ও আরেকটি ১৮ লাখ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেন প্রমাণ হিসেবে। এছাড়াও সে ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকার ৭টি নিজ অ্যাকাউন্টের চেক নিজে স্বাক্ষর করে প্রমাণ হিসেবে তিতাসকে প্রদান করেন।
পরে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও শাহিনকে না পেয়ে অবশেষে থানা পুলিশের নিকট শরণাপন্ন হয়ে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অনেকের ধরনা প্রতারক শাহিন হোসেন যে কোন মুহূর্তে দেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী কোন দেশে চলে যেতে পারেন।
ইএইচ