কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পৌরসভা থেকেও মশা নিধনে নেওয়া হচ্ছে না তেমন কোন উদ্যোগ।
সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে মশা নিধনের জন্য স্প্রে করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। দিন দিন পৌরসভা এলাকার ঝোপঝাড়, ময়লার স্তূপ, বিভিন্ন নালা থেকে মশার বংশবৃদ্ধি হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিদিন মশার কামড়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
দরজা-জানালা লাগিয়ে রেখে কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান শুভ বলেন, মশার যন্ত্রণায় রাতে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। সন্ধ্যার পর থেকে দরজা জানালা লাগিয়ে কয়েল জ্বালিয়ে রেখেও মশা থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার অসুবিধাসহ নানা অসুখ বিসুখ দেখা দিচ্ছে। মেয়র সাহেবের কাছে অনুরোধ থাকবে তিনি যেন দ্রুত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখেন এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেন।
আরেক বাসিন্দা বাপ্পি দাস জানান, মশার যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। রাতে ঘুমানো যায় না ঠিকমতো। কয়েল জালিয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। তাই দ্রুত মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর দাবি জানাচ্ছি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৪ জন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, এ পৌরসভায় সাতটি ফগার মেশিন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ নানান রোগ হয়। তাই মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে, নিয়মিত মশার প্রজননস্থল গুলি পরিষ্কার করতে হবে এবং মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া জানান, পৌর এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মশার ওষুধ ছিটানো হবে।
ইএইচ