মনপুরায় ইটভাটায় পুড়ছে লাকড়ি, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
মনপুরায় ইটভাটায় পুড়ছে লাকড়ি, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া ৪নং ওয়ার্ডের মূল রাস্তা সংলগ্ন মনপুরা ব্রিকস ফিল্ডে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠের লাকড়ি। ইটভাটার অফিস রুমের পাশেই দেখা যায় লাকড়ির স্তূপ, সেই লাকড়ি পুড়িয়ে প্রকাশ্যেই তৈরি হচ্ছে ইট।

স্থানীয়রা বলছেন, ইটভাটার মূল মালিক রাজনৈতিক নেতা এবং উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির। তাই তিনি সহজলভ্য কাঠের লাকড়ির ব্যবহারে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না।

সরেজমিনে ইটভাটাতে গিয়ে দেখা যায়, লাকড়ির ব্যবহারের ফলে নির্গত হচ্ছে অধিক পরিমাণে কালো ধোঁয়া। এই কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। ঝড়ে যাচ্ছে গাছের মুকুল, কৃষি জমিসহ আশেপাশের বসতবাড়ি, এসব ইটভাটার আশপাশে বসবাস করা অসহায় সাধারণ মানুষ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। অত্যাচার জুলুম সহ্য করে নিশ্বাসের সাথে বিষ গ্রহণ করছে এসব মানুষ।

শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে আশেপাশে বনবিভাগ থেকে চোরাইভাবে গাছ কেটে লাকড়ি বানিয়ে ও চর থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে এনে তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট।

এলাকাবাসী আরও জানায়, মালিক প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ফসলি জমির ওপর ইটভাটা নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে এনে তা দিয়ে ইট বানাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের দোহাই দিয়েই ইটভাটা মালিক প্রভাবশালী জাকির চেয়ারম্যান সরকারি কোন নিয়ম নীতিকেই তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর ইটভাটার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লাকড়ি স্তূপ করে রাখার কথা স্বীকার করে ইটভাটার এক কর্মচারী মো. লিয়াকত হোসেন জানান, কয়লার বদলে লাকড়ি সহজলভ্য হওয়ার কারণে ব্যবহার করা হয়।

মনপুরা ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক জাকির চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ঢাকায় যাচ্ছি আমার সচিব অসুস্থ এ বিষয়ে পরে আপনার সাথে কথা বলব।

পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা’র সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়াকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি জানান, মনপুরা একটি দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন উদ্যোগ নিলে আমি তাদেরকে স্বাগত জানাবো এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনগত সহায়তা প্রদান করব।

ইএইচ