বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্যোগই যেন কাজে আসছে না। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনের কঠোর হুশিয়ারির পরেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখা যাচ্ছে না। এবার রমজানের মাসে ইফতার ও সেহরির পণ্যসামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম।
রিয়াজুদ্দিন বাজার, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ও ফলমন্ডি বাজার মনিটরিং করে বিভিন্ন অসঙ্গতি পেয়েছে প্রশাসন। করা হয়েছে ব্যাবসায়ীদেরকে সতর্ক।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আমার সংবাদকে দ্রব্যেরমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির কথা জানিয়েছেন।
একইভাবে নগরীর ফলের আড়ত ও পাইকারি দোকানে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন প্রকার অসঙ্গতি পায় প্রশাসন।
সোমবার নগরীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং করে জেলা প্রশাসন টিম। এ সময় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমীর ভান্ডারকে ৩ হাজার, ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার, দ্বীন এন্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার এবং এলাচের বৃহত্তম আমদানিকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আমদানি মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
তিনি আমার সংবাদকে বলেন, বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা যায় শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। এছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশি আছে বাজারে। আমরা চেষ্টা করছি দাম বাড়ার কারণটি খুঁজে বের করার জন্য। বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। আজ সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের বাজারকে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেয়া হবে না।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।
চট্টগ্রাম ভোক্তা পরিষদের দাবি ছোলা, মসলা, ভোজ্যতেল, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন রমজান নির্ভর পণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য। ডলার সংকট ও এলসির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা একটি কথা বলে যাচ্ছেন।
ইএইচ