পারিবারিক কলহের জের ধরে যশোরের চৌগাছায় বাবা-মায়ের হাতে ছেলে খুন হয়েছেন। নিহতের নাম রেজাউল ওরফে সাইমন (২৩)।
সোমবার রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খান গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুল আলম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড়খানপুর গ্রামের ঢাকা পাড়ায় আয়তাল হোসেন (৬০) তিন ছেলে সন্তানসহ তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার স্ত্রী সালেহার কারণে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। পারিবারিক কলহের কারণে বড় দুই ছেলে বাবা-মার থেকে আলাদা সংসারে বসবাস করছিলেন। মেজো ছেলে রিজাউল বিয়ে করার পর থেকেই মা সালেহা ছেলের স্ত্রী সুমি আক্তারের উপরে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করত। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কথা চিন্তা করে রিজাউল প্রতিবাদ করতেন না।
সোমবার মা সালেহা বেগমের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ করে ছেলে রেজাউল। এতে কলহে জড়িয়ে পড়ে তারা। এক পর্যায়ে পিতা আয়তাল হোসেন ও ছোট ছেলে মনির রেজাউলকে ধরে রাখে এবং মা সালেহা বেগম রেজাউলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শক্তলাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে রেজাউলের স্ত্রী সুমি গ্রাম্য ডাক্তার ডেকে আনলে চিকিৎসায় বাধা দেয় মা সালেহা।
এদিন রাত ১০টার দিকে অবস্থা খারাপ দেখে স্ত্রী সুমি আক্তার স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বামী রেজাউলকে কোটচাদপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালে উপস্থিত মা সালেহা ও পিতা আয়তাল হোসেনকে কোটচাদপুর থানার পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে নিহতের ছোট ভাই মনির সটকে পড়েছে। রেজাউলের দুই বছর বয়সের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। তিনি হত্যা মামলার অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ