লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উপনির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কিন্তু গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই রিট পিটিশনটি স্থগিত করার ফলে আট সপ্তাহের মধ্যে জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আর কোন বাধা রইলো না।
কোর্টের দেওয়া আদেশের প্রেক্ষিতে প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল আপিল করলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। তাই পরবর্তীতে পুনরায় তফসিল ঘোষণা হলে মনোনয়ন বঞ্চিতরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খায়রুল কবির।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন ২০০০-এর দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাহমিদুল ইসলাম। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দিনের জন্য উপনির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে স্থগিতাদেশ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
জেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম একটি আদেশ জারি করেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থনা অনুসারে তর্কিত হাইকোর্টের আদেশটি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হলো। এর ফলে জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আর কোন বাধা থাকলো না।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফুল সরকার বলেন, পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় উপনির্বাচন ১ মাস ২০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।
এবিষয়ে প্রার্থী অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আমি একজন প্রার্থী। মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় তা জমা দেইনি। এ আদেশের ফলে নতুন করে মনোনয়ন জমা দেয়ার সুযোগ পাবো।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য ধার্য ছিল। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ১৯ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল নিষ্পত্তি, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ ও ৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
ইএইচ