কুষ্টিয়ায় ইফতার সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
কুষ্টিয়ায় ইফতার সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

আজ মঙ্গলবার ১২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে সিয়াম সাধনার পর সন্ধ্যায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একত্রিত হয়ে পারিবারিকভাবে ইফতার করে থাকেন।

এদিকে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে যা রোজাদারদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ বছর  ইফতার সামগ্রীর দাম এতটা বেশি যা অতীতে কখনো হয়নি।

মজমপুর গেটের সানজিদ ফল ভান্ডারের মালিক কালু মিয়া বলেন, খেজুর, আপেল, আঙুর, বেদানা, মালটাসহ সব ধরনের ফলের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনগুণ। দিন মজুর গরিব শ্রেণির মানুষগুলো এবার এই ফলদিয়ে  ইফতার করতে পারবে না।

ঢাকার বড় বড় ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সব ধরনের ফলের দাম দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা যে দামে কিনছি তার উপর ২-৩ টাকা লাভে বিক্রি করছি।

ফল ব্যবসায়ী জানান, এ বছর  রমজানে কালমি প্রিমিয়ার খেজুর ৫ কেজির বক্স ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, খালাস খেজুর ১০ কেজির  বক্স  ৩ হাজার ৭০০ টাকা, আমিরা গোল্ড ৩ হাজার ৪০০ টাকা,  জামজামি মিটজল ৫ কেজি ৬ হাজার ৭০০ টাকা, মাসরুক  ৫ কেজি ৩ হাজার ২০০শ টাকা, ভিআইপি কালমি ৫ কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকা, নাগাল ১০ কেজি  ৪ হাজার ১০০ টাকা, রেজিস ১০ কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকা, আল জেরিয়া কাঁচাপাকা ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। আঙুর ২০ কেজির  ঝুড়ি ৫ হাজার ৩০০ টাকা, আপেল ২০ কেজির বক্স ৪ হাজার টাকা, বেদানা  প্রতিকেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী কিরণ স্টোরের মালিক কামরুজ্জামান কিরণ বলেন, আমরা খুচরা ও পাইকারি দরে ফল বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে প্রতি কেজি জিহাদী খেজুর ৩০০ টাকা, মাসরুম ৬০০ টাকা, বরই খেজুর ৫২০ টাকা,  দাবাস ৪৫০ টাকা, মরিয়ম ১,০২০ টাকা আজুয়া ১,২০০ টাকা,  কালমি ১,০০০ টাকা, তিউনিসিয়া ৭০০ টাকা, মিডজল ১,৪০০ টাকা, রিয়াল ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গরিবের খেজুর নামে খ্যাত বস্তা বা লুজ খেজুর ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় হাতেগোনা ১২ থেকে ১৫ জন ফল ব্যবসায়ী এবার পাইকারি ফল বিক্রি করছে। এদের কাছে কুষ্টিয়া জেলার অন্যান্য ফল ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

ভোক্তারা বলেন, রমজান মাস আসলেই বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো রমজানের পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেয়। অথচ আমাদের দেশে ২ থেকে ৩ গুন বৃদ্ধি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা মুনাফা করলেও সরকারের এ ব্যাপারে কোন নজর নেই।

ইএইচ