এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বরিশালে। এবার ঝলসে দেয়া হয়েছে ৩ কিশোরের মুখ।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অ্যাসিড বিক্রি করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন চিকিৎসকরাই।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের মেঝেতে জায়গা হয়েছে অ্যাসিডে ঝলসানো ২ কিশোর ও এক যুবকের।
অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সন্তান, পাশেই অঝোরে কাঁদছেন মা। দিশেহারা স্বজনরা। বরিশালের বাবুগঞ্জের রফিয়াদি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রামের যতিন বাবুর বাড়িতে তিন দিনব্যাপী নামকীর্তনে গিয়েছিলো তারা। ২য় দিনের কীর্তন শুনে ৫ কিশোর পাশের ব্যাপারী বাড়িতে ঘুমাতে গেলে রোববার ভোররাতে ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি তাদের।
তবে পূর্ব শক্রতার কারণে এঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহতরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুল আলম জানান, অ্যাসিডে মুখ ঝলসে যাওয়া উৎপল হালদার নবম শ্রেণি ও আশিস মল্লিক কৃষি ইন্সটিটিউটের ৫ম ব্যাচের ছাত্র এবং জয় বিশ্বাস স্বর্ণের দোকানি। দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার গ্রহণ করা হবে।
শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-৩ এর সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, জীবন শঙ্কামুক্ত হলেও সারাজীবনের জন্য মুখমণ্ডলে ছাপ থেকে যেতে পারে। এমন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে যত্রতত্র অ্যাসিড বিক্রি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ চিকিৎসকের।
ইএইচ