চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের বিভিন্ন স্থানে দুপাশে শতাধিক গাছ ও গাছের ডালপালা দীর্ঘদিন না কাটায় সড়ক জুড়ে রয়েছে কিছু হেলে পড়া গাছ। সারি সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে মরা গাছ।
এসব গাছ পথচারীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায়ই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো গাড়ি। যে কোনো মুহূর্তে মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার সদর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও কুষ্টিয়া সদর অভিমুখে ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা থেকে উপজেলার বেলগাছি বোর্ড বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হেলে গেছে।
এছাড়া এসব গাছের ডাল শুকিয়ে প্রায়ই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। গাছের ডালপালা সড়কের দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ বিভাগ।
ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ট্রাক ড্রাইভার আহসানুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কিছু গাছ হেলে পড়েছে। গাছের শুকনো ডালগুলো সড়কের মধ্যে আসায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টির দিন সড়কে গাছ ও ডাল পড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক হযরত আলী বলেন, পৌর শহরের সন্নিকটের সাত কপাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কের একটি গাছ সড়কের মাঝে অর্ধেক হেলে পড়েছে। এতে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি, কখন গাছ ভেঙে ইজিবাইকের উপর পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, আঞ্চলিক সড়কটি সওজের হলেও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। তারাই গাছগুলো দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো ইতোমধ্যে মার্কিং করেছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জান্টু বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ ও ডালপালা হেলে পড়াগুলো চিহ্নিত করে মার্কিং করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই করে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হবে।
ইএইচ