সাপাহারে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
সাপাহারে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

পবিত্র রমজান মাসে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। নওগাঁর সাপাহারে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫-৩০টাকা পর্যন্ত। প্রচুর পরিমাণে আমদানি থাকলেও কিছু অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর এর প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের মাঝে।

সদরের বাজার ঘুরে বিভিন্ন দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন নিত্যপণ্য ও সবজির প্রতি কেজি ও লিটারে দাম বেড়েছে ৫টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রচুর পরিমাণে প্রতিটি কাঁচা পণ্যের আমদানি থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েই চলেছে।

গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ১২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি ১৩০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের মূল্য ছিল ২৫ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে খিরার মূল্য ছিল ৪০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে আদার মূল্য ছিল প্রতিকেজি ২০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে রসুনের মূল্য ছিল প্রতিকেজি ১৯০টাকা, চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলুর দাম ছিল ৩০, চলতি সপ্তাহে ৪০, গত সপ্তাহে টমেটো প্রতি কেজি ছিল ২৫, চলতি সপ্তাহে ৪০, লেবু প্রতিহালির মূল্য ছিল ২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিল ৫০, চলতি সপ্তাহে ৭০ টাকা, ছোলা গত সপ্তাহে প্রতিকেজির দাম ছিল ৯০, চলতি সপ্তাহে ১১০, মসুর ডাল গত সপ্তাহের দাম ছিল ১০০, চলতি সপ্তাহে ১১০, প্রতিকেজি বেসন ছিল ৮০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৯০, পাহাড়ী ডাল গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৯০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি গত সপ্তাহে ছিল ১৪২, চলতি সপ্তাহে ১৪৫ টাকা, চিকন চাল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ছিল ১৪০, চলতি সপ্তাহে ১৪৫ টাকা।

এভাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, তেল, শুকনা মরিচ, লবন, সরিষা তেলের দাম।

খুচরা তরকারী বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম জানান, কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ার কারণ হলো পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা সকাল হতে ওঁৎ পেতে থাকে পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করে অধিক মুনাফার আশায় রাজধানীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রেতাদের উপর।

কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকার ফলে কাঁচা তরকারির দাম বেড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হলে দাম কমবে বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। আমরা দোকানদারদের বলছি যাতে কোন ভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়। অযাচিতভাবে কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ