ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুটি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুটি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কাজ না করেই দুটি প্রকল্প শতভাগ সম্পন্ন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের আড়াই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

প্রকল্পের কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ না করে টাকা উত্তোলনসহ প্রকল্পের স্থান থেকে ২-৩ লাখ টাকার মাটি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়,২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের  চুন্নির আইট হোসেন আলীর জমি থেকে নুরুজ্জামানের জমি পর্যন্ত খালের পূর্ব পাশে রাস্তা পুনঃনির্মাণে ১ লাখ ৫০ টাকা, এবং নুরুজ্জামানের জমি থেকে শ্রীপুরগামী খালের পূর্ব পাশে রাস্তা সংস্কার সাধারণ উন্নয়ন (টিআর-নগদ) ১ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই রাস্তা দুটি প্রকল্পে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিলেও দুটি প্রকল্পের ৫ পয়সারও কাজ না করে সব টাকা আত্মসাত করে সে স্থান থেকে আরও ২-৩ লাখ টাকা মাটি বিক্রি করেছে ইউপি সদস্য নাসির।

নুরুজ্জামানের পিতা বলেন, খাল কাটা মাটি রাস্তায় ফেলার কারণে রাস্তাটি উচু-নিচু হয়েছিল। আমরা মাটি নিতে চাইলে নাসির মেম্বার মাটি নিতে দেয়নি। পরে তার কাছ থেকে ১৭০০ টাকা দিয়ে ২ ট্রাক্টর মাটি নিয়েছি মসজিদের কাজের জন্য।

স্থানীয় আশরাফুল, আব্দুর জব্বার ও কুলসুম বেগম বলেন, আশপাশের লোকদের মাটি নিতে বাধা না দিলে রাস্তা এমনিতেই সমান হয়ে যেতো। কিন্তু মেম্বার কাউকে মাটি নিতে দেয়নি, তিনি মাটি বিক্রি করেছেন।

আরও অনেকে বলেন, ভেকু দিয়ে কেটে কয়েকশ গাড়ি মাটি বিক্রি করেছেন মেম্বার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রকল্প দুটির সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, কাজ না করলে তো আর পিআইও অফিস ও ইউএনও অফিস আমাকে টাকা দেয়নি? কাজ হয়েছে কিনা তাদের কাছে গিয়ে জানতে চান।

বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, রাস্তায় থাকা খাল কাটার মাটি আমিও নাসির মেম্বারের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন স্থানে দিয়েছি। তবে রাস্তা পুনঃনির্মাণ বা রাস্তা সংস্কারের জন্য কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, আগের পিআইও এবং ইউএনও কেউই নাই, সে কারণে এসব নিয়ে না ঘোটাই ভালো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ বলেন, গত অর্থ বছরের প্রকল্পগুলোর বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না তিনি।

ইএইচ