শরীয়তপুরের জাজিরার কাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী।
রোববার দুপুরে কাজিরহাটের ফলপট্টিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে ম্যাজিস্ট্রেট গাড়ি দেখেই মুহূর্তে লুকিয়ে ফেলা হয় ওজন মাপার স্কেল মেশিন।
জানা গেছে, কাজিরহাট বাজারসহ জাজিরার বিভিন্ন বাজারগুলোতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল মৌসুমি ফল তরমুজ। এছাড়াও লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছিলো খেজুরসহ ইফতারে প্রয়োজনীয় নানা ফল।
অভিযানে তরমুজের দোকানগুলোতে গিয়ে জানতে চাইলে দোকানিরা জানায় পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। ক্রয় রশিদ দেখে বড় ও ছোট তরমুজের সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করে দেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং এই মূল্য অব্যাহত রাখার জন্য তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয় কাজিরহাট বাজার কমিটিকে।
অভিযানের সময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে মূল্য তালিকা না রাখায় জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে ভাই ভাই বাণিজ্যালয়কে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারী পরিচালক সুজন কাজী আমার সংবাদকে বলেন, রমজানে মৌসুমি ফল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির জন্য কাজিরহাট বাজারে এসেছি। আমরা বাজারে ফলের দোকানগুলোতে দেখেছি যে সব ফল রয়েছে সেগুলো কীভাবে বিক্রি হচ্ছে এবং কত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা তরমুজের দোকানগুলোতে গিয়ে তাদের ক্রয় ভাউচার দেখেছি, ক্রয় ভাউচার চেক করার পরে যৌক্তিক যে মূল্য সে মূল্যে তরমুজ বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে জেলার বিভিন্ন বাজারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইএইচ