শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনকে (৪০) হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মো. আলমগীর হোসেন (২৪) ও একই উপজেলার মো. নুরুল ইসলাম (৬৫)।
রোববার দুপুরে শেরপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম-সেবা।
অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন কাকরকান্দি গ্রামের মো. সাফায়েতউল্লাহর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন ও হত্যাকারী আলমগীর হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। আলমগীর হোসেন পেশায় একজন ট্রাক্টর চালক। তিনি কিছুদিন আগে ঋণগ্রস্ত হয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। ঢাকায় বসেই আলমগীর পরিকল্পনা করেন যে, গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটা অটোরিকশা ছিনতাই করে তা বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী তার এলাকার পূর্ব পরিচিত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনকে টার্গেট করেন এবং গত ১৩ মার্চ রাতে তার অটোরিকশাটি ভাড়া করে কালাকুমা বাজারে নিয়ে যান। পরে ওই বাজার থেকে সিগারেট ও দুই বোতল জুস কিনে কৌশলে একটি বোতলে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনকে খাওয়ান।
এতে মোশারফ অজ্ঞান হয়ে গেলে আলমগীর তাকে অটোরিকশার পিছনের সিটে বসিয়ে ঘাকপাড় সড়কের ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে মোশারফ হোসেনের গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ সড়কের পাশে জমশেদ আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে ওই অটোরিকশার ৪টি ব্যাটারি ৩০ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করে আলমগীর।
এদিকে ১৪ মার্চ ঘটনাস্থল থেকে নিহত অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৪ মার্চ নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরে ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অভিযান চালিয়ে ঘাতক আলমগীর হোসেন ও তার খালু মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে নিহত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনের ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ৪টি ব্যাটারি, ব্যাটারি বিক্রয়ের ৮ হাজার টাকা ও খালি জুসের বোতল উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ইএইচ