পবিত্র রমজান মাসে অফিস কিংবা কাজ শেষে বিকালবেলা কিশোরগঞ্জ শহরজুড়ে কর্মব্যস্ত মানুষের আনাগোনা বেশি থাকায় রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।
আর ইফতারের ঠিক আগে যানজটের যন্ত্রণা আরও বেশি বেড়ে যায়। ইফতারের আগ মুহূর্তে শহরে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কে যানজট চরম আকার ধারণ করে।
মানুষকে দীর্ঘ সময় বিভিন্ন যানবাহনে অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে বাসায় ফিরতে না পেরে রাস্তায় ইফতার করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অফিস শেষে কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে অন্যরাও ঘরে ফিরতে শুরু করলে শহরের একমাত্র প্রধান রাস্তার ওপর ব্যাপক চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে অধিকাংশ ইফতার সামগ্রী বেচাকেনা দোকান বসেছে। যার ফলে যানজট লাগছে। রোজার মাসে অফিস বা দিনের কাজ শেষে সবাই সময়মতো ঘরে ফিরতে চান। পরিবারের সঙ্গে অংশ নিতে চান ইফতারে। সেজন্য একটু তাড়াহুড়ো করেই কেউ রিকশা, কেউ অটোরিকশাযোগে গন্তব্যের দিকে ছোটেন। কিন্তু সবকিছু যেন থমকে দাঁড়ায় যানজটের কবলে।
মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ইফতারের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। যার ফলে রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ জানান, অফিস শেষে বিকালে বাসায় ফিরেন তিনি। কিন্তু প্রতিদিন ইফতারের আগমুহূর্তে দীর্ঘ যানজটে পরতে হয়ে তাকে। অনেক সময় রাস্তায় ইফতার করতে হয়।
গুলশান মোড়ের বাসিন্দা আরমান জানান, শহরে ইফতার কিনতে এসেছেন তিনি। শহরের প্রায় সব অস্থায়ী দোকানগুলো রাস্তা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। তাই ইফতার সামগ্রী কিনতে গিয়ে রাস্তা ব্লক হয়ে যায়।
অটোচালক রুবেল জানান, বিকালে অধিকাংশ মানুষের অফিস বা কাজ শেষ হয়। ইফতারের আগে সবাই বাসায় ফিরতে চান। তাই রাস্তায় মানুষের চাপ বাড়ে, একই সাথে রাস্তা গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই এই সময়টিতে যানজট বেশি লাগে।
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের আগে সড়ক স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অফিস ছুটির পর বা অন্যান্য কাজের শেষে একসঙ্গে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ পড়লে সড়কে যানজট তৈরি হয়। ইফতারের জন্য সবারই বাসায় ফেরার তাড়া থাকে। রিকশা ও অটোরিকশার চাপে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তখনই যানজট লাগে।
ইএইচ