শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি নদীর পাড়ে জাটকা মাছ বিক্রি হচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাছগুলো জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেছে নৌপুলিশ।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি এলাকা থেকে মাছগুলো জব্দ করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম।
নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ মাছ নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এসময় জাটকা ইলিশ নিধন, বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়৷ কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গরীব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে থাকে।
দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এসময় জাটকা ইলিশ নিধন করে। বুধবার সকালে সখিপুরের নরসিংহপুর নৌপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি এলাকায় জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। পরে নৌপুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৭০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করে।
অভিযানের সময় মাছ বিক্রি করা লোকজন পালিয়ে চলে যায়। পরে মুন্সীবাড়ি নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এ এতিমখানা, জামেয়া মোহাম্মাদীয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংসহ কয়েকটি এতিমখানায় মাছগুলো বিতরণ করে দেওয়া হয়।
নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাইপট্টি এলাকায় জাটকা ইলিশ মাছ নিধন করে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।
পরে অভিযান পরিচালনা করে মাছগুলো জব্দ করেছি। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় মাছ বিক্রির সাথে জড়িত সবাই পালিয়ে গেছে। মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। জাটকা ইলিশ মাছ নিধন বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এইচআর