ভৈরবে নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৮

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
ভৈরবে নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৮
ছবি: আমার সংবাদ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে  মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী  নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছে একজন এবং ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মাঝি পর্যটক যাত্রীদের অনুরোধে মাঝ নদীতে বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দেওয়ার সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তখন বালুবাহী বাল্কহেড সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় নৌকাটি উল্টে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং ২৮ থেকে ৩০ বছরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে আরো নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস,ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় বেড়াতে আসা কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালির আরাধ্য দে, বেলাল দে, রূপা দে (৩৫) ও নরসিংদী থেকে ভৈরবে খালাবাড়ি বেড়াতে আসা রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।

নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। নৌকাডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

নিখোঁজ বেলন দে’র ভগ্নিপতি প্রবির দে জানান, আমাদের সাত জন আত্মীয় ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এখন পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে পর্যটকবাহী নৌকার ধাক্কা লেগে ডুবে গেলে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলে ও ৮ জন এখনো নিখোঁজ। আজ সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

এআরএস