নীলফামারীতে ভুয়া ভোটার দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
নীলফামারীতে ভুয়া ভোটার দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
ছবি: আমার সংবাদ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের উত্তর কালিকাপুর মুসলিম শাহী দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার সামনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান শতাধিক অভিভাবকরা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শরিফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, হামিদা বানু, আব্দুল খালেক প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘যাদের সন্তানেরা এই মাদ্রাসায় পড়ে না তাদেরকেও ভোটার বানানো হয়েছে। যাদের অভিভাবক করা হয়েছে, তাদের সন্তানেরা অধিকাংশই উত্তর কালিকাপুর শালডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী জামিয়া ইসলামিয়া হুফ ফাজুল কুরআন ক্যাডেট মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বিষয়টি গোপন রাখতে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় যারা ভোটার হয়েছে তাদের সন্তানেরা এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নয়। মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির যোগসাজশে ভুয়া ভোটারের তৈরি করে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করছে তারা। এমনকি মাদ্রাসার যে-সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছে তারাও জানে ম্যানেজিং কমিটির এই নির্বাচন সম্পর্কে। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানাই এবং এসব অবৈধ ভোটারদের বাতিল করে পুনরায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচনের দাবি জানাই।’

সরেজমিনে জামিয়া ইসলামিয়া হুফ ফাজুল কুরআন ক্যাডেট মহিলা মাদ্রাসার প্রধান মোরসালিন ইসলামের সাথে অকপটে কথা বললে তার মাদ্রাসার ২৫জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক উত্তর কালিকাপুর মুসলিম শাহী দাখিল মাদ্রাসার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার তৈয়ব আলীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে নির্বাচনের ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনার প্রিজাইডিং অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ‘চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করবে মাদ্রাসার সুপার। তারা যে ভোটার তালিকা দিয়েছে সে অনুযায়ী ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এখানে আমার কোনো কিছু করার নেই। ইউএনও স্যার আমাকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি নির্বাচন পরিচালনা করছি।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ভুয়া ভোটারদের বিষয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষা বোর্ডের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েই ফোন কেটে দেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি করবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। আর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করবেন। তবে আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায় নি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে সে অনুযায়ী প্রতিবেদন আমি শিক্ষা বোর্ড বরাবর পাঠাবো।’

এআরএস