মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে এ বছর ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকাটি মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. আবদুল্লাহিল কাফি।
রোববার বিকাল ৪টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, আপনারা জানেন ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের যিনি রাজা উনারা কিন্তু নবীনগরে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোত্তম আমাদের যে পরিকল্পনা সেটি গ্রহণ করা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে এ সময় তিনি বলেন, আমাদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। আমাদের রাস্তায় রোড কেন্দ্রিক পুলিশ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রিক আমাদের বড় একটি টিম কাজ করবে। এর বাহিরে এ বছর আমরা ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকার পরিস্থিতি আমরা মনিটরিং করবো। আমাদের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তায় কাজ করবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, তো সে রকম অনুষ্ঠান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি রমজান মাস চলছে, তো সব কিছু আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশ এখানে একটি ভালো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। কেননা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য যেন কোথাও অনুষ্ঠিত না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে।
এ সময় আবদুল্লাহিল কাফি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের যিনি রাজা উনারা আসবেন ভোরবেলা। তার আগে আমাদের স্মৃতিসৌধের যে মেইন গেট তার আশপাশে, ওই সময় সাধারণ দর্শনার্থীরা থাকতে পারবেন না৷ তবে উনারা চলে যাওয়ার পরে সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এবং আমাদের সড়কের যে ব্যবস্থা সেটি নরমাল থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ, ওসি ইন্টেলিজেন্ট মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক অমিতাভ চৌধুরী অমিত, উপ-পরিদর্শক বিপুল হোসেনসহ ঢাকা জেলা পুলিশের আরও অনেকে।
ইএইচ