রামপালে ৩টি সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ, নাব্যতা সংকটের আশঙ্কা

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
রামপালে ৩টি সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ, নাব্যতা সংকটের আশঙ্কা

বাগেরহাটের মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন তিনটি সরকারি খাস খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাব্যতা হারানো খালগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশেষ বরাদ্দে পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করলেও প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন।

এতে মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা সংকটের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি সরকারি খাস খাল প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। খালগুলো হলো সাতপুকুরিয়ার পাঁজাখোলার খাল, আড়ুয়াডাঙ্গার ইয়াছিন খাল ও আদুর খাল।

খালগুলো মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন হওয়ায় এবং চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ায় বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতপুকুরিয়া গ্রামের তৈয়ব মাঝির ছেলে আনিস মাঝি, আরশাদ আলীর ছেলে নজরুল মাঝি, রাজেন মণ্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল, হাকিম শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, হাসেম আলী ফকিরের ছেলে আফতাব ফকির, মোস্তফা মোসাল্লির ছেলে রফিকুল মোসাল্লি, রহিম পিয়াদার ছেলে আলাউদ্দিন পেয়াদাসহ ২০-২৫ জন সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন।

অভিযোগকারী মো. গিয়াসউদ্দিন ও রীনা বেগম দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দে খালগুলো খনন করা হয়। সেই খাল দখল করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। খালগুলো উন্মুক্ত করা হলে মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে ও এলাকার পরিবেশ ঠিক থাকবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সদস্য মোল্লা আ. সবুর জানান, সুন্দরবন, মোংলা বন্দর ও এ এলাকার পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থা খালগুলো খনন করে। খালগুলো বেদখল হওয়ায় চ্যানেলের পানির প্রবাহ কমে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই আশা করছেন পরিবেশবাদী এই নেতা।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আনিস মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি খালে মাছ চাষের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে মাছ চাষ করছি, অভিযোগ হলে মাছ চাষ করবো না।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে তহশিলদার পাঠিয়ে তদন্ত করে দ্রুত খালগুলো উন্মুক্ত করা হবে। কেউ সরকারি রাস্তা কেটে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ