কলাপাড়ায় অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
কলাপাড়ায় অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ
ছবি: আমার সংবাদ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান উয়ারিয়া-ধুলাহার খালের এক-তৃতীয়াংশ ভরাট করার চিত্র ফুটে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত রফিক ঘরামীর ছেলে সরোয়ার ঘরামী এ অবৈধ দখল বাণিজ্য করছে বলে জানা যায়। তিনি খালের মাটি দিয়েই তার জমি সংলগ্ন খালের অংশ ভরাট করে দখলে নিচ্ছে। অথচ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে খাল দখলে নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে জানা যায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের উয়ারিয়া-ধুলাহার খালটি ওই এলাকার একটি ঐতিহ্যগত খাল। এ খাল থেকে মাছ আহরণ করে অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করে। শুকনা সিজনে শুকিয়ে গেলেও বার্ষা মৌসুমে পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে এ খালটি। অথচ দখলবাজদের শকুনি চোখের নজরে পরে খালটি আজ মরা খালে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে খালটি তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারাতে বসেছে। এতে বিপাকে পরছে স্থানীয় মৎস্যজীবী পরিবারগুলো।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, একসময় বিস্তর্ণ এলাকাজুড়ে এ খালটির অবস্থান ছিল। কিন্তু দখলবাজদের নজরে পরে খালটির আকার এখন ছোট হয়ে যাচ্ছে। যে যার মতো ভরাট করে দখলে নিচ্ছে। জানতে চাইলে বলে রেকর্ডিং সম্পত্তি তাই ভরাট করছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সরোয়ার ঘরামির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এস. এ পর্চানুযায়ী এটি আমার রেকর্ডিং সম্পত্তি। তাই ভরাট করছি।’ কিন্তু বিএস পর্যায় এটি সরকারি খালে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তাহলে কীভাবে এ খালটি সে নিজের বলে দাবি করছেন তার সদুত্তর তিনি সাংবাদিকদের দিতে পারেননি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এআরএস