কথায় আছে চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন। সেই দশ দিন চুরি করার পর শেষ রক্ষা হলো না এনামুল সিকদার আনামের। নিজ গ্রামের একটি বসতঘরে সিঁধ কেটে চুরি করার সময় গ্রামবাসী হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশকে কাছে হস্তান্তর করে।
বলছি বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া গ্রামের মৃত, আলতাফ শিকদারের ছেলে এনামুল সিকদার আনামের কথা। যার একের পর এক চুরির কারণে অতিষ্ঠ পুরো গ্রামবাসী।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোররাতে পূর্ব কালমেঘা ছোনবুনিয়া গ্রামের সবুজ হাওলাদারের বসতঘরে সিঁধ কেটে চুরি করার সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশকে দিয়ে হয়।
ভুক্তভোগী সবুজ হাওলাদার ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম জানায়, রাতে সাহরী খাওয়ার জন্য তরকারি গরম করতে রান্নাঘরে গেলে, হঠাৎ চোরকে বসে থাকতে দেখতে পাই। চোরের পাশে থাকা দাও দিয়ে চোরের শরীরে আঘাত করে ভয়ে চিৎকার দিলে আমার স্বামী ও প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে চোরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে দেখি আমাদের বসতঘরে চুরি করার জন্য সিঁধ কেটেছে। এই লোক দীর্ঘদিন ধরে চুরি করে। এই এলাকায় কেউ রাতে নিরাপদ ভাবে ঘুমাতে পারে না।
অভিযুক্ত, এনামুল সিকদার আনামের সাথে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি চুরি করতে আসি নাই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানায়, অই এলাকা থেকে আমাকে মুঠোফোনে জনালে তাৎক্ষণিক আমি টহল টিম পাঠিয়ে দেয়। লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআরএস