ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বেতন- বোনাসের দাবিতে হিসাব রক্ষক ও প্রধান সহকারীকে কক্ষে তালাবন্ধ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহমেদ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না।
পরে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের সামনে জড়ো হতে থাকলে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়কের সামনের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয় বিক্ষিপ্ত কর্মচারীরা।
কর্মচারীরা জানায়, ১০ রমজানের পর সকল সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস প্রদান করা হয়েছে। এমনকি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও নার্সদের বেতন বোনাস প্রদান করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ ৪৯ জন কর্মচারীর বেতন বোনাস এখনো অনলাইনে দাখিল করেনি। তিনি বেশিরভাগ সময়ই ঢাকাতে থাকেন বলে কর্মচারীদের অভিযোগ। ঠিকমতো অফিস না করায় তিনি সময়মতো কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেননি। এতে এখনো ঈদের কেনাকাটা করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক মহসিন মিয়া বলেন, আজ ১৯ রোজা শেষ হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ঈদ বোনাস পাইনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঈদ করব কীভাবে।
হেলথ এডুকেটর জিয়াউল হাসান বলেন, রোজা শেষ পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের জন্য কিছু ক্রয় করতে পারিনি। আমরা সরকারি চাকরি করে এখন পর্যন্ত কেনো বোনাস পাব না। আমাদের বোনাসের বিষয়ে ফয়সালা না হলে আমরা কাজে ফিরব না।
এদিকে দুইঘণ্টা কর্ম বিরতির ফলে হাসপাতালের সকল সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম। এসে তিনি কর্মচারীদের অনুরোধ করেন হিসাব রক্ষক ও প্রদান সহকারী কক্ষ খুলে দিতে। পরে কর্মচারীরা তালা খুলে দিয়ে কাজে যোগদান করেন।
এরপর ছুটে আসেন চিকিৎসক এবিএম ইমাম হোসেন তিনি বলেন, আমাকে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধাকের দায়িত্ব দিয়ে স্যার ছুটিতে আছেন।
এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেওয়ার এখনও সময় আছে। আমি ঢাকায় ছিলাম, এখন রওয়ানা হয়েছি। দ্রুতততম সময়ের মধ্যেই কর্মচারীদের বেতন বোনাস প্রদান করা হবে।
ইএইচ