যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্বস্তিতে পূর্ব পাড়ের মানুষ

মামুন সরকার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে স্বস্তিতে পূর্ব পাড়ের মানুষ
ছবি: আমার সংবাদ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনার পূর্ব পাড় অর্জুনায় যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণের ফলে স্বস্তিতে যমুনা পূর্ব পাড়ের মানুষ। গত কয়েক বছরের ভাঙনে বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব চরাঞ্চল এবং তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ভাঙন রক্ষায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে সরকার ৪২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নদী তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেন। ফলে স্বস্তিতে আছেন নদী ভাঙন কবলিত হাজারো পরিবার।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মানুষের কাছে নদী, পানি, ভাঙন, এ যেনো প্রতিবছরে বর্ষা মৌসুমে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে থাকে  উপজেলার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের। আর সেসময় যমুনার ভাঙন সাথে নিয়ে যায় তাদের সর্বস্ব। আর এই সর্বস্ব হারা এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেন সরকার। উপজেলার অর্জুনায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের প্রতিরক্ষা বাঁধ কাজের দৈর্ঘ্য ৫.৮৫০ কিলোমিটার ও ড্রেজিং কাজের দৈর্ঘ্য ৬.১২৫ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৬২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কাজটি বাস্তবায়নে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুরু হয়ে সম্পন্ন হয় ২০২২ সালে। ফলে রক্ষা পায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, হাট-বাজার, বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলের জমি। এছাড়া উপজেলার যমুনা পূর্ব পাড়ের গোবিন্দাসী থেকে নিকরাইল এলাকায় দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসিল জমি হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। উঁচু রাস্তার পাশে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকমে মাথা গোঁজর ঠাঁই নিয়েছি। যমুনার ভাঙনে রাস্তাটিও হুমকির মুখে ছিল। আমাদের এমপি ছোট মনির প্রধানমন্ত্রীকে বলে এখানে বাঁধ দেয়ার রাস্তাসহ আমাদের মাথা গোঁজর ঠাঁইটুকু রক্ষা পেয়েছে। আমাদের  দীর্ঘদিনের দাবিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় আমরা খুশি।

টাঙ্গাইল-২, (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের যমুনা পূর্ব পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ। আমরা স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ৮.৮৫০ কি.মি. প্রতিরক্ষা বাঁধ সহ ৬.১২৫ কি.মি. ড্রেজিং কাজ করেছি। এর ফলে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, ঘরবাড়ি সহ অসংখ্য স্থাপনা।

এআরএস