কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাতে কয়েকদিন আগেও একেকটি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় বেচা-বিক্রি কম ছিল। মানুষের তরমুজ নিয়ে তেমন বেশি আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় তরমুজের দাম কয়েক গুণ নেমে গেছে।
১০০০ টাকার একটি তরমুজ বিক্রির জন্য বিক্রেতারা উচ্চস্বরে ২০০ টাকা বলে হাক ডাক দিচ্ছেন। আগের চাইতে দাম কম আর সরবরাও বেশি হওয়ায় পরেও তরমুজের বাজারের ক্রেতা সংকট। কিন্তু রমজানের শুরুতে তরমুজের চিত্র ছিল উল্টো।
মৌসুম শুরুর আগেই চড়া দাম উঠে তরমুজের। রমজানে তা অনেকটাই চলে যায় ক্রেতার নাগালের বাইরে। বাধা হয়ে ক্রেতারাও দেন তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। ফলে তরমুজের বাজারে কমে যাই ক্রেতা।
পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানের সামনে তরমুজের স্তুপ। কিন্তু ক্রেতা দেখা নাই। আবার কেউ গাড়িতে তরমুজ ভরে মাইক লাগিয়ে বিক্রির জন্য গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। তরমুজের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজার সঙ্গে সঙ্গে শিলা বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পৌর শহরের ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সামনে তরমুজ বিক্রেতা মিলন আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গরমের শুরু থেকে তরমুজ বাজারে এসেছে। চাহিদা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় তরমুজের বিক্রি কম ছিল। এরপরও লাভের আশায় তরমুজ ঘরে তুলেছি। দাম বেশি থাকায় বেচা কম হয়েছে। এরপর বৃষ্টির হওয়ার কারণে এবং ক্রেতা কম থাকায় তরমুজ বিক্রি কম হচ্ছিল হঠাৎ করে দাম কমে যায়।
আরেক তরমুজ ব্যবসায়ী বেলাল বলেন, ভেড়ামারা আড়ত থেকে গত সপ্তাহে যে দামে খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ীরা কিনেছেন তার থেকে বর্তমানে অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় কেনা পড়তো। ওই তরমুজ মাত্র ৫০-৬০ টাকা কেনা পড়েছে। যার ফলে বাজারে তরমুজে ধ্বস নেমেছে। বেশিদিন তরমুজ ঘরে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে তাই লাভের আশা না করে ক্ষতি হলেও কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছি।
শফিক নামে একজন ক্রেতা বলেন, দাম বেশি হওয়ায় এতদিন তরমুজ কেনার সাহস হয়নি। এখন দাম কমে যাওয়ায় একসঙ্গে দুটো করে তরমুজ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।
বিআরইউ