সন্দ্বীপে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
সন্দ্বীপে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আর বাকি আর মাত্র ৫ দিন। দিন যত গড়াচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে  ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে।

বিশেষ করে থ্রিপিস, শাড়ির বিক্রি বেড়েছে। এছাড়াও লেহেঙ্গা, ফ্লোর টাচ, আলিয়া, নায়রা, সিঙ্গেল কোত্তাসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। তবে পুরুষের চাইতে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকান ও মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজার তত জমে উঠছে। প্রতিদিন গড়ে ১ থেকে থেকে ২ কোটি টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। 

সন্দ্বীপ শহর, এনাম নাহার, শিবের হাটের বাজারে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে। এই ভিড় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থাকে।

রমজানের ২৫তম দিন শুক্রবার সরেজমিনে সন্দ্বীপের বিভিন্ন বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

উপজেলা কমপ্লেক্সের  রাজকন্যা, হাফিজুর রহমান, নোবেল, শৌল্কিক,  সুরিব ক্লথ , অপরুপা, বিসমিল্লাহ, মডেল বস্ত্র বিতান, হাজী এমলাক, বাসর্ড আই, জেন্টেল প্লাস, বাচ্চাদের বেবি সপ, হ্যালো বেবি, আপন শফিং ,  এনাম নাহার মোড়ের আলোড়ন শপিং,  আবিদ পাঞ্জাবি ঘর,  জেন্টাল প্লাস, দ্বীপের বাবু, কুটুম বাড়ি, টফ প্যাসন, পালকি, রঙের বাড়ি, মিথি ফ্যাশন, শিবের হাটের পোষাক বাজার, থ্রিজি, ব্লুবেড়ি, আকবর হাট আপন শফিং, নাজির হাট ভাই ভাই বস্ত্র বিতান, বন্ধু বাড়ি, তালতলী হাজী এমলাক হাজী মোদাচ্ছির, কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ করা গেছে।

উপজেলার অন্যতম জুতার পরিবেশক লোটোতেও ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তারা আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা।

পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি।

এনাম নাহার মোড়ের আলোড়ন শপিংয়ের স্বত্বাধিকারী রাশেদ কাইছার জানান, আমাদের এখানে লেহেঙ্গা, দেশি ইন্ডিয়ান শাড়ি, আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন পাওয়া যাচ্ছে, তবে তরুণীদের বেশি আগ্রহ আলিয়া কাট ও নাইরা কাটে। এগুলো মানভেদে ১২০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

তবে ভিন্ন কথা পাঞ্জাবি ঘরের উপজেলার অন্যতম পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী আবিদ জানান, এবার অন্য বছরের তুলনায় ক্রেতা কম, আমাদের এখানে দেশি ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি সব রকমের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় মান ভেদে ৫শ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।

মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন পিপিএম বলেন, পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব ঈদে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সব সময় মাঠে রয়েছে। আমরা জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।

ইএইচ