জেলেদের জন্য ভিজিএফ চালের কার্ড করার নামে ৫/৬ হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন এবং কার্ডও করে দিয়েছিলেন এক ইউপি সদস্য। তবে কয়েক কিস্তি চাল পাওয়ার তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি ইউএনওকে জানাবে বলায় এক জেলকে মারধর করা হয়েছে।
এমন অভিযোগ করেছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মুন্সির হাওলা গ্রামের মো. রফিজল ইসলাম। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম মো. আল মামুন। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ইউপি সদস্য আল-মামুন কর্তৃক মারধরের শিকার বৃদ্ধ মো. রফিজল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাই জেলে কার্ড করাতে মামুন মেম্বারের কাছে যাই। এসময় কার্ড করে দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেয় মেম্বার এবং জেলে কার্ড করে দিলে আমি পাঁচ কিস্তি চাল পাওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৩ মার্চ চাল না পাওয়ার বিষয়টি মামুন মেম্বারকে জানালে তিনি জানান; আপনি আর কোনো চাল পাবেন না। এসময় টাকার বিনিময়ে আমাকে জেলে কার্ড করা ও চাল দেয়া বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানাবো বললে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে মামুন মেম্বার।
এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ওয়ার্ডের আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আমরা জানি সরকার বিনামূল্যে অসহায়দের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তবে মামুন মেম্বারের কাছে এসব সুযোগ-সুবিধা চাইতে গেলে আগে টাকার কথা বলেন। তার শর্ত অনুযায়ী টাকা দিলে সুবিধা মিলে, নয়তো মিলে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃদ্ধ মো. রফিজল ইসলাম কে মারধরের ঘটনা স্বীকার করেন ইউপি সদস্য মো. আল মামুন। তবে টাকার বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
জানতে চাইলে লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, এসব ঘটনা আমার আগে জানা ছিল না। ঘটনার বিষয়ে আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য কাউকে মারধর করলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি থানায় মামলা করতে পারেন। এছাড়া ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধার প্রদানের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ