দেশের পার্বত্যাঞ্চল বান্দরবানে দুপুর কিংবা রাতে বিকট শব্দ হলেই কেঁপে উঠছে সাধারণ মানুষ। এমনই আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন রুমা ও থানচি উপজেলার কিছু ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে জেলার রুমা-থানচি এলাকাজুড়ে। কোথাও বিকট শব্দ হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সন্ধ্যা হতে না হতেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে রুমা-থানচি বাজারের সব দোকানপাট।
রুমা বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম (ছদ্মনাম) জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রুমার মসজিদে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে একদল সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মনে। ফলে আগে যেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতেন বাজারের সবাই, এখন সন্ধ্যা সাত থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে সবাই দোকান বন্ধ করে ফেলেন।
থানচি বাজারের ব্যবসায়ী পলাশ ও সুজন দাশ জানান, ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় সোনালী-কৃষি ব্যাংক লুট, ৪ এপ্রিল রাত ৮টায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বাজার ও হাসপাতাল এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোলাগুলির ঘটনায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে থানচি বাসীর। আগে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজারের দোকানপাট খোলা রাখলেও এখন দোকানের অর্ধেক শাটার বন্ধ অবস্থায় ব্যবসা করছেন বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
সন্ধ্যা নামতেই বন্ধ করে ফেলা হচ্ছে সকল দোকান। আগের মতো তেমন লোকসমাগমও দেখা যাচ্ছে না বাজারে। এছাড়া বিকট কোনো শব্দ শুনলেই দোকান বন্ধ করে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন নিরাপদ আশ্রয় পেতে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে বিজিবি টহল জোরদার করলেও সব মিলে চাপা আতঙ্ক যেন তাদের মন থেকে পিছু ছাড়ছে না ।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া আছে। এরূপ আরও কয়েকদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে জনগণের মন থেকে আতঙ্ক কেটে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাজাহানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
বিআরইউ