চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউপিতে টিসিবি পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গরিবের মাল ধনীদের পেটে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির পণ্য কিনতে আসা কয়েকজন কার্ডধারী সাধারণ মানুষ।
এদিকে এতে তার কোনো দায় ও সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক দর্জি।
গত ৩ এপ্রিল সরেজমিনে টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে বিসিবি পণ্য বিক্রির সময় এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কার্ডধারী ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম জানান, আমি সকাল ১১টায় টিসিবির পণ্য কিনতে এসেছি এখন দুপুর আড়াইটা বাজে আমাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দাড় করিয়ে রেখে শুধু চাল দিয়ে বলছে, এবার শুধু চাল আসছে তেল এবং ডাল নেই নিলে নেন না নিলে কেটে পরেন। এমতাবস্থায় আমি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে তাকে পরিষদে না পাওয়ার কারণে শুধু চাল নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন ও কামাল হোসেন বলেন, আমরা কিছুই বলতে পারবো না। চেয়ারম্যান যেভাবে বলে আমরা সেভাবেই কাজ করি।
অনিয়মের ব্যাপারে ডিলার তোফায়েল আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তো আর এ ব্যাপারে দেখাশুনা করি না আমার লোকজন দেখাশোনা করে থাকে। অনিয়মের ব্যাপারটি আমি জেনে সুন্দরমতো যেন টিসিবির পণ্য বিক্রি হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে টামটা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক দর্জি বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রিতে আমার পরিষদের কোন দায় দায়িত্ব নেই। টিসিবির পণ্য বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট ডিলার, আমার ইউনিয়নে তিনজন ডিলার রয়েছে তারা শুধু আমার থেকে পরিষদের জায়গা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে আমি আমার পরিষদ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি।
চাঁদপুরের টিসিবির দ্বায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, টিসিবি পণ্য বিক্রিতে সংশ্লিষ্ট কারো কোন প্রকার অনিয়ম থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বশির আহমেদ বলেন, টিসিবি পণ্য বিক্রিতে কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগ নেই, এ ব্যাপারে কেউ যদি অনিয়ম করে তাহলে আমরা যেকোনো মাধ্যমে জানলেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো।
ইএইচ