বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ২ সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করার দায়ে আরও ১০ জনকে আসামি করে ১২ জনের নামে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক বিলুপ্ত কমিটির তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু।
বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন নারী কেলেঙ্কারিতে ভাইরাল হওয়া তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক।
মামলার আসামি দুই সাংবাদিক হলেন- দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, নাঈম ইসলাম, দৈনিক মানবকণ্ঠের তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন।
সাংবাদিকসহ স্থানীয় আরও ১০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মামলার আসামি করার কারণে সাংবাদিক মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ওই মামলার সাক্ষীরা এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং তাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা তাদের কথা না শুনে নিউজ প্রকাশ করি, সেই আক্রোশে আমাদের নামে সাইবার আইনে মামলা করেছে। তারা রাজনীতিবিদ তারা তাদের চরিত্র নষ্ট করবে আর আমরা নিউজ করবোনা তা কি হয়। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কলম কখনো থামিয়ে রাখা যায়নি আর যাবেও না।
জানতে চাইলে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো।
ইএইচ