কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিল দখল নিতে গিয়ে সাহেদ (২২) নামে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় দুপক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাহেদ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থক ও শহরতলীর মোল্লা তেঘড়িয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বোয়ালিয়া এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজিব ও মতিন দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। আমরা একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা পেয়েছি। তাই আজ সকালে আমরা সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই রাজিব ও মতিনের লোকজন আমাদের লক্ষ করে অতর্কিত গোলাগুলি করলে সাহেদ নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে রয়েছি।
এ বিষয়ে রাজিব ও মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুতপা রায় বলেন, সাহেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি মারামারির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা এটি আমার জানা নেই।
ইএইচ