তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পদ্মা চরের বাদাম ক্ষেত

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পদ্মা চরের বাদাম ক্ষেত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তীব্র তাপদাহে পুড়েছে বাদাম গাছ, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাষিরা। এপ্রিলের দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এ মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় বাজার দামও ভালো পাবেন বলে মনে করছিলেন তারা। কিন্তু ফলনের মাঝপথেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দাবদাহ। এতে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।

সরেজমিনে উপজেলার ফিলিপনগর, রামকৃঞ্চপুর, চিলমারী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র তাপদাহে বাদামের গাছ শুকিয়ে ঝিমে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেতে আবার পোকার আক্রমণ। এতে আর্থিকভাবে লোকসানের আশঙ্কা কৃষকদের।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত পনেরো দিন থেকে কখনও ৩৮ ডিগ্রি, আবার কখনও বা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করছে। আর এ কারণে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়েছে।

চিলমারী ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, গত কিছুদিন থেকে এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র রোদে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। যা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কৃষকরাও। কৃষকদের বিস্তীর্ণ বাদাম ক্ষেত এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। রোদ আর তাপমাত্রায় বাদাম গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে।

ফিলিপনগর এলাকার বাদাম চাষি সোলাইমান হোসেন জানান, গত কয়েকদিনের তাপদাহে বাদাম গাছ শুকিয়ে গেছে। এতে আমরা লোকসানের আশঙ্কা করছি। আমার মত অন্য চাষিদেরও একই অবস্থা।

পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে বাদাম চাষি রফিকুজ্জামান জিল্লু নামের এক ইউপি সদস্য জানান, অনেকটা শখের বসে দশ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম কিন্তু অনাবৃষ্টি আর রোদে তাদের সমস্ত বাদাম গাছ পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করলে কৃষক উপকৃত হবে।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, এ বছর দৌলতপুরে প্রায় ৮১৭ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি। কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে বাদাম গাছের পাতা পুড়ে গেছে। তবে বাদাম আপদমুক্ত ফসল। সঠিক সময়ে যদি ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে ফলন বিপর্যয়ের তেমন শঙ্কা থাকবে না।

ইএইচ