মাহফিলের রান্না করা মাংস বিক্রি, এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
মাহফিলের রান্না করা মাংস বিক্রি, এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজড়কুড় ইউনিয়নের ফয়লাহাটে ইছালে সওয়াব মাহফিলের রান্না করা কয়েক ডেগ মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গভীর রাতে খেতে দেয়ার কারণে মুসল্লি ও শিশুরা চলে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ মাংস বেঁচে যায়। পরবর্তীতে বেঁচে যাওয়া ওই মাংস এতিমখানায় না দেওয়ার কারণে দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, সোমবার রাতে ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইছালে সওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে বড় ধরনের খাওয়ার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাহফিলে বেশি মুসল্লির সমাগম হওয়ায় মাহফিল পরিচালনা কমিটি রাত ভারী করতে থাকেন। যাতে করে লোকজন কমে যায়। এক পর্যায়ে রাত ২টার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের খেতে দেওয়া হয়। ওই সময় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা রাত ১২টার পূর্বে অভুক্ত অবস্থায় মাহফিল ছেড়ে চলে যায়।

পরদিন মঙ্গলবার ভোরে বেঁচে যাওয়া কয়েক ডেগ মাংস বিক্রি করে দেয়া হয়।

অভিযোগকারীরা জানান, মাহফিল কমিটির সভাপতি আ. হালিম পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল গাজী লোকসমাগম বেশি দেখে দেরিতে খেতে দেন। এতো দেরি হওয়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় মাহফিল ছেড়ে চলে যায়। পরে ৯ ডেগ মাংস বেঁচে যায় এবং ৫ ডেগ মাংস বিক্রি করেন এবং ৪ ডেগের মাংস কমিটির সদস্যরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মাহফিল কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল গাজীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মাহফিল কমিটির সভাপতি আ. হালিম পাটোয়ারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ১০ হাজার লোক খাওয়ানো হয়েছে। মাহফিল শেষে খাওয়াতে কোন দেরি হয়নি। সামান্য কিছু বেঁচে যাওয়া বিক্রি করা হয়েছে। কোনো মাংস কমিটির সদস্যরা নেয়নি।

তবে তিনি বলেন, এতিমখানা খোলা ছিল না তাই মাংস দেয়া যায়নি।

ইএইচ