কর্মীসভায় নিজেকে এমপির মনোনীত প্রার্থী দাবি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
কর্মীসভায় নিজেকে এমপির মনোনীত প্রার্থী দাবি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রার্থী দাবি করে প্রচারণার চালিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাধ্যম দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ওই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আইনজীবী রবিউল ইসলাম।

তার অভিযোগ আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নিজেকে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের মনোনীত প্রার্থী বলে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

অভিযোগকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। অপরদিকে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।

ভিডিও চিত্রসহ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর আলম।

অভিযোগকারী চেয়ারম্যানপ্রার্থী আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ফাঁকা জায়গায় নির্বাচনি কর্মী সভা করেছেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। এ সময় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিজেকে এমপির মনোনীত প্রার্থী বলে দাবি করেন। যার ভিডিও ফুটেজ আমার সংগ্রহ আছে।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও কোন চিঠি পাইনি। আমার পুরো বংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কথা প্রসঙ্গে আমি ভুলবশত নিজেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বলে ফেলেছি। এটা নিছক একটা ভূলমাত্র। আগামীতে এ ধরণের ভুল হবে না।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ঘটনা যাচাই বাছাই পূর্বক আচরণবিধি লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনি আচরণবিধি পালনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

ইএইচ