বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে অধিকাংশ এসি বিকল, চরম ভোগান্তি

যশোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে অধিকাংশ এসি বিকল, চরম ভোগান্তি

যশোরের বেনাপোল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরে কয়েকটি এসি গত দুই সপ্তাহ ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে।

যার কারণে প্রতিদিন আন্তগমন ও বহির্গমন ৭-৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রীর মারাত্মক ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

এমনিতেই দুই দেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হন পাসপোর্ট যাত্রীরা। তাতে আবার তীব্র তাপদাহে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের ভেতরের পাশে দেয়ালে লাইন ধরে লাগানো এসিগুলো অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে দেয়ালে লাগানো এসিগুলো কাজ করে না গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছে। সেবা পাচ্ছে না কানা কড়িও।

বেশি ভোগান্তিতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।

যাত্রীদের অভিযোগ, তারা সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে কেউ বা যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে। ঘেমে ভিজে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

ঝিনাইদহ থেকে ভারত ভ্রমণে আসা জুয়েল রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েকঘণ্টা ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানে ও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানে ও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেয়ালে এসি সাটানো থাকলেও অধিকাংশই অচল, কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে আমরা কি সেবাটা পাচ্ছি?

ঢাকার যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরিভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভিতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। হিতে বিপরীত। এখানে আরো গরম। এসি থাকলেও এগুলো চলে না। তবে তিনি মনে করেন কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যোগদানের পর থেকে দেখেছি এসিগুলো অধিকাংশই নষ্ট। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারাই ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন ধরে এসিগুলো নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এসিগুলো মেরামত করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

ইএইচ