কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের নবজাতক শিশু সন্তানকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম বার।
রবিবার (৫ মে) বিকালে এসপি রাসেল শেখ তার ২ সন্তান বর্ণমালা ও বর্ণিলকে নিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতক শিশু সন্তানটিকে দেখতে যায়।
এ সময় মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও শিশুর জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যান এসপি।এসপির ৭ বছর বয়সী ছেলে বর্ণিল তার হাতে থাকা খেলনা একটি গাড়ি নবজাতক শিশুটিকে উপহার দেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মা ও নবজাতক শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন ও তাদের স্থায়ী বন্দোবস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ও ভরণপোষণসহ সকল কিছুর ব্যবস্থা করা হবে জানান।
জানা যায়,গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে মহিনন্দ নয়াপাড়ায় ইটখলার পাশে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে প্রসব ব্যথায় কাতরাচ্ছিলো।পরে এ অবস্থা দেখে স্থানীয় বাসিন্দা দুলেনা ও সেলিনা বেগমের মায়া হয়।তারা মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে টাকে উদ্ধার করে তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।পরে সেদিনই একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দেয় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটা।
সন্তান জন্মদানের পর ৩ দিন দুলেনা ও সেলিনার ঘরেই আশ্রিত হয় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ও তার ছেলে সন্তান।স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আলী কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে বিষয়টি জানালে ওসি জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় হাজির হয় মহিনন্দ নয়াপাড়ায়
মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতকের অবস্থান করা বাড়িতে।সেখানে তিনি নবজাতকের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যান।পরে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ও তার নবজাতক সন্তানকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যান।সেখানে ভর্তি করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওসি গোলাম মোস্তফা।বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন
মেয়ে ও তার নবজাতক সন্তান কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।পুলিশ ও সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মা ও শিশুটিকে হাসপাতালে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করেছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান,এ ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সেখানে ছুটে যাই।সেখানে গিয়ে মা ও নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে মা ও নবজাতক শিশু এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে।জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতক শিশুর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরএস