তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ঘোষিত তফশিল মোতাবেক আজ রবিবার (৫ মে) ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই।
এতে দেখা গেছে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ এবং সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
যদিও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে এখনো। নৌকা মার্কা না থাকলেও দলীয় একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকগণ। এছাড়া জাতীয় পাটির ২ জন এবং স্বতন্ত্র ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সফিউল ইসলাম আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. খয়বর হোসেন সরকার মওলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গোলাম কবির মুকুল, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সদস্য দুর্লভ মন্ডল।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন সর্দার, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন লিখন মিয়া এবং মো. এরশাদ আলী।
অপরদিকে বৈধ পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ১২ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৯ মে ভোট গ্রহণ। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের সুবিধার্থে ২৮টি ভোট কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১১টি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৯টি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২২টি। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৫৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। তুলনামুলকভাবে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, ভোটারদের সুবিধার্থে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
আরএস