নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মোঃ হাসান (৩৪) নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে দু’হাত ভেঙে দিয়েছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত শিক্ষক হাসান ওই উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের শরাফতিয়া ইসলামীয় ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি ওই এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের নুর করিমের ছেলে।
মঙ্গলবার (৭মে) দুপুরে এঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় আহত শিক্ষক মো. হাসানের শ্বশুর শাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মোঃ রাজু (২২) ও আবু নোমান (২১) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪-৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এর আগে রোববার (৫মে) বিকেলে ওই এলাকার মদিনা বাজারের পূর্বে কোম্পানি বাড়ির দক্ষিণ পাশে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টায় জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করলে এতে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্য রাজু ও নোমান ওই শিক্ষকদের ওপর হামলা করে। এঘটনায় দুপুরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রাসেদসহ প্রধান শিক্ষকের কক্ষে মীমাংসা হয়। এঘটনার জের ধরে একই দিন বিকেল ৪টায় শিক্ষক মোঃ হাসান বাড়ি বাংলাবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে য্ওায়ার সময় মদিনা বাজারের পূর্বে কোম্পানি বাড়ির দক্ষিণ পাশে রাস্তার ওপর পৌঁছলে কিশোর গ্যাং সদস্য নোমান ও রাজুসহ ৬-৭জন মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করে। এসময় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাতে থাকা লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শিক্ষক হাসানের দু’হাত ভেঙে দেয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে মাইজদী জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার শিক্ষকের শ্বশুর শাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ হামলা চালায়। হাসানের দু’হাত ভেঙে যাওয়ায় মাইজদীর জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে তার অপারেশন করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগীরা শ্বশুর শাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে একটি থানায় মামলা দিয়েছে। এঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্য রাজু, নোমানসহ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিআরইউ