ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে নড়িয়াতে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম ইসমাইল হক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম। এদের মধ্যে নড়িয়া উপজেলা পরিষদ টানা তৃতীয় বারের মতো দখলে রেখেছেন ইসমাইল হক। অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ওয়াছেল কবির গুলফাম নতুন মুখ।
বুধবার (৮ মে) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪ টায়। ভোট গ্রহণ শেষে গণনার পর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ২১২ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে ৭৬ টি কেন্দ্রের ৬৭০ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী একেএম ইসমাইল হক ৩০ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০হাজার ৫২৭ ভোট। আনারস প্রতীকের অপর প্রার্থী আলাউদ্দীন ব্যাপারী পেয়েছেন ২ হাজার ২৮৬ ভোট। নড়িয়াতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৫৩ হাজার ১৫৯ জন ভোটার।
অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে ৮০ টি কেন্দ্রের ৬৩৯ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ওয়াছেল কবির গুলফাম ৬০ হাজার ৩১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট। ভেদরগঞ্জে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এক লাখ ৩ হাজার ১২৪ জন ভোটার।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ভোটারের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
আরএস