বিদ্যালয়ের সামনে ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
বিদ্যালয়ের সামনে ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার চরশোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পূর্বে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ময়লার ভাগাড়ের ফলে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

ময়লার দুর্গন্ধে নাপ চেপে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে তাদের। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে এ ময়লার স্তূপ হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে মেইন রাস্তার পাশে ডাস্টবিন না থাকায় স্থানীয় এলাকার আশপাশের বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হয় রাস্তার পাশে। এতে ময়লার স্তূপ জমে। প্রতিদিন পৌরসভার লোকজন ময়লা আবর্জনা এসে নিয়ে গেলেও সারাদিন ময়লার দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ডাস্টবিন না থাকায় আশেপাশের মানুষ এখানে এসে ময়লা ফেলায় ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে জায়গাটিতে। ফলে ময়লার দুর্গন্ধে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

তাই দ্রুত ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন তৈরি করে সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের সামনেই রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ হওয়ায় দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। এখান থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে অন্যত্র ডাস্টবিন তৈরি করে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করলে আমাদের দুর্ভোগ কমবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শহরে চলাচলের একমাত্র এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরতে হয়। ডাস্টবিন না থাকায় যত্রতত্র সবাই ময়লা ফেলায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন তৈরি করে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, এখানে স্কুল থাকার কারণে পৌরসভার পক্ষ থেকে একটা ডাস্টবিন করা হয়। এখানে ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও মানুষ সেখানে ময়লা ফেলে। ময়লা ফেলার জন্য নরসুন্দা নদীর পাশে নির্দিষ্ট অনেক জায়গা আছে।

ইএইচ