প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

হবিগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০২:০২ পিএম
হবিগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূর, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোমান সারওয়ার জনি, বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফুরুক, করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ ও খোকন চন্দ্র গোপকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হবিগঞ্জ স্পেশাল জজ ও দায়রা আদালতে মামলাটি করেন লাখাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

মামলার বাদীর আইনজীবী এম.এ.এ.এম গাউছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়- লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ ও সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরের সুপারিশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ প্রকল্পে ৫৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। যার মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আসামিরা প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, বরাদ্দ গ্রহণ ও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বাস্তবে ওই প্রকল্পগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। মাধ্যমে প্রকল্পের যাবতীয় কাগজাদি সৃজন করিয়া ভুয়া তথ্য সন্নিবেশিত করে প্রধান-নির্বাহী ব্যক্তি হিসাবে স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার বাদী লাখাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন- বিভিন্ন সংবাদপত্রে লাখাই উপজেলার কাবিখা প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বোঝা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। দেশের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেয়া যায় না। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ বলেন- নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের আমার প্রতি অসন্তুষ্ট করতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। এই প্রকল্পের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

মুশফিউল আলম আজাদ আরও বলেন- যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তা উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রকল্প নয়। এটা একটা বিশেষ প্রকল্প। সবকিছু ইউএনও দেখে থাকেন। আমি শুধু কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অথচ মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়নি। আমার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই মামলা দায়ের হয়েছে।

ইএইচ