গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহতের প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলে অংশ নেন আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গুলিতে নিহতের লাশ নিয়ে পৌনে ১টার দিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামারুজ্জান ও প্রধানমন্ত্রীর এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে এবং হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় মহাসড়কে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী সাধারণ। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্বাসে দুপুর ২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার রাতে চা সিগারেট পান করা নিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সদর উপজেলার সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভুইয়া এবং পরাজিত প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থকদের মধ্যে চন্দ্রদিঘলীয়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ওয়ছিকুর ভুইয়া নামে এক যুবক নিহত হয়। এ সময় আহত হয় কমপক্ষে ১৫ জন।
ইএইচ