মহাসড়কে ধান শুকানোর হিড়িক

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
মহাসড়কে ধান শুকানোর হিড়িক

জামালপুরের মেলান্দহে জামালপুর-মাদারগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাবকী বাজার থেকে হাজরাবাড়ী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ওপর ধান ও খড় শুকানোর হিড়িক লেগেছে। এতে বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহনের চাকা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়ছে।

জানা গেছে, জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। এ সড়ক দিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা ও মেলান্দহ উপজেলার একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করে। মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী বাজার থেকে হাজরাবাড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ওপর বোরো ধান মাড়াই, খড় ও ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। এতে মহাসড়কের অর্ধেক অংশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

মহাসড়ক আইন-২০২১ অনুযায়ী, ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা এ ধরনের কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না। তবুও প্রতি বছরের বোরো ধান কাটার সময় মহাসড়ক দখল করে ধান শুকানো হয়।

তবে কৃষকেরা বলছেন, সড়কে ধান শুকাতে দিলে তেমন কষ্ট করতে হয় না। একদিনেই ধান শুকানো হয়ে যাই। তাই বেশিরভাগ মানুষ সড়কে ধান ও খড় শুকাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজরাবাড়ী পৌরসভা থেকে ভাবকী বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপরে বিভিন্ন জায়গায় কৃষকেরা ধান ও খড় শুকাচ্ছে। কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে খড় উল্টিয়ে দিচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ধানের ওপর দিয়ে যেন গাড়ির যেতে না পারে সেজন্য ইট দিয়ে রেখেছে। মহাসড়কের দুই পাশেই ধান ও খড় শুকানোর জন্য রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

মোটরসাইকেল চালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার দুই পাশে ধান ও ধানের খড় শুকানো হচ্ছে। এতে সড়ক ছোট হয়ে গেছে। এ সড়কে দ্রুত গতিতে অটোরিকশা ও ট্রাকসহ বড় বড় যান চলাচল করে। ধান ও খড়ের ওপরে মোটরসাইকেল ব্রেক চাপলে চাকা পিছলে যায় এতে যে কোনো সময়ের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

হাজরাবাড়ী এলাকায় শিক্ষার্থী রোমান আহমেদ বলেন, রাস্তার ওপরে ধান ও খড় শুকানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কয়েকদিন আগে। প্রতিবছরেই বোরো ধান মৌসুমে সড়কের ওপর ধান ও খড় শুকানো হয়। সড়কের কাছে যাদের বাড়ি রয়েছে তারাই এসব কাজ করছেন। এসবের কারণে প্রতিবছর দুর্ঘটনা হলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেন না। উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলে অনেকটা কমে যেত।

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, মহাসড়কের ওপরে যারা ধান ও খড় শুকাচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারা যেন মহাসড়কের ওপরে ধান ও খড় শুকাতে না পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হক বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।

ইএইচ