জায়েদের দত্তক বিষয়ে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় ২ আবেদন বিবেচনায়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
জায়েদের দত্তক বিষয়ে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় ২ আবেদন বিবেচনায়

সড়ক দুর্ঘটায় মা জায়েদা খাতুনের মৃত্যুর পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসানকে দত্তক দেওয়া বিষয়ে সভা করেছে শিশু কল্যাণ বোর্ড। সভায় দাখিল হওয়া দশটি আবেদনের মধ্যে দুইটি আবেদনকে বিবেচনায় রাখা হয়।

রোববার দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভা করেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশুকল্যাণ বোর্ড।    

সভায় শিশু জায়েদকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে আবেদনকারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়েছে- বলে জানিয়েছেন জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম।  

তিনি বলেন, শিশু জায়েদের বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে। তবে তার মামা রবিন মিয়ার আর্থিক সংকট রয়েছে। তিনি একজন ভ্যানচালক। তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে তিনি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জায়েদকে নিজের কাছে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই মর্মে ইতোমধ্যে তিনি লিখিত একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন। এরপর শিশু কল্যাণ বোর্ডের আহ্বানে দশটি পরিবার জায়েদকে দত্তক নিতে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল (সোমবার) এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

সভায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।        

দত্তক বিষয়ে শিশুটির মামা রবিন মিয়া সাংবাদিকদের জানান, জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।    

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, সড়কে নিহত জায়েদা খাতুনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোররাবাজার উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।

গত ৯ মে দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাস্টাবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তারা আহত হলে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

ইএইচ