ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুর্নীতির তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালির পাশাপাশি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কাজী শামসুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ মে) বিকেলের দিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সংবাদকর্মী আক্তারুজ্জামান সোহেল বারী ও লিয়াকত হোসেনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে।
আক্তারুজ্জামান সোহেল বারী দৈনিক বাংলাদেশের আলো ও লিয়াকত হোসেন দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের কক্ষে প্রবেশের পর তার বিরুদ্ধে কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্যের বিষয়ে জানতে চান সংবাদকর্মীরা। এ সময় সংবাদকর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাদের ওপর চড়াও হন প্রধান শিক্ষক অরুন দত্ত।
এ সময় সংবাদকর্মীরা বলেন, আপনি ভদ্র ভাষায় কথা বলুন। প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, ‘তুই ক্যামেরা বের করলি কেন, এই ... বাচ্চা রুম থেকে বের হ।
এ সময় সংবাদকর্মীদের প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা যায়- ‘আপনি একজন প্রধান শিক্ষক, আপনার ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকের রুমে থাকা অন্যান্য শিক্ষকরা সংবাদকর্মীদের ওই রুম থেকে বাইরে টেনে নিয়ে আসেন।
পরে ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীরা বিষয়টি মোবাইলে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ জানাতে চাইলে উল্টো ওই বিদ্যালয়ের মধ্যে বহিরাগত কিছু লোকজন সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় এবং তাদেরকে ধাওয়া করে। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মৌখিকভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সংবাদকর্মী আক্তারুজ্জামান সোহেল বারী বলেন, সম্প্রতি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ওই বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয় এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের সঙ্গে কথা বলতে যায়। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে অনিয়মের তথ্য পাই। সেই বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অরুন চন্দ্র দত্তের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিস্তারিত জানাবেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএস