অনেকদিন পর খুব শান্তিমতো ভোট দিয়েছি। কেউ বাধা দেয় নাই। নিজের ভোটটা নিজেই দিয়েছি। এইবার ভোট দিয়া খুব মজা পেয়েছি। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে নাতির কোলে করে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর এ কথা বলেন বৃদ্ধা মহিলা বেগম।
আরেক ভোটার রহিমা বেগম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অইছে। আমরা শান্তিমতো ভোট দিয়েছি। এইবার কোনো গ্যাঞ্জাম হয় নাই। নিজের পছন্দের মার্কায় ভোট দিতে পারছি।
মঙ্গলবার সকাল সারে ১১টার দিকে মধ্য টেংগুইরা হাজী আহম্মদ আলী দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট দিতে অপেক্ষারত নারীদের লম্বা লাইন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং জালাল উদ্দিন জানান, কেন্দ্রটিতে মোট ২ হাজার ২১০ জন ভোটের মধ্যে প্রায় এক হাজার ৬২০ ভোট পড়েছে।
প্রিসাইডিং অফিসার জানান, সকাল থেকেই ব্যাপক হারে ভোটাররা আসছেন। এখানে ভোট পড়ার হার খুব ভালো।
ওই কেন্দ্রের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনি এজেন্টদের সাথে কথা বললে তারা উভয়ই বলেন, খুব সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩২টি কেন্দ্র ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে নিকলী সদর ইউনিয়নের জিসি পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নারী-পুরুষ ভোটারের সারি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থায়। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টদের কাছে কেমন ভোট হচ্ছে, জানতে চাইলে সবাই একই কথা বলেন, খুব সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। যার ভোট সে দিচ্ছে। সারাটা দিন এভাবে গেলেই হয়।
ভোট দিয়ে বের হওয়ার পথে ভোটার হোসেন মিয়া বলেন, এবার খুব সুষ্ঠু ভোট হইতাছে। যার ভোট সেই দিতে পারছে। ভোটের কোনো কারচুপি গ্যাঞ্জাম নাই।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার ডা. শৈলেন মল্লিকের দেওয়া তথ্য মতে, ওই কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ৩৭% ভোট পড়েছে।
নিকলী উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া আক্তার বলেন, নিকলীতে দুপুর ২টা পর্যন্ত মোট ৪৫% ভোট পড়েছে। দুই-একটি ছোট ঘটনা ছাড়া নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইএইচ