উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সাভারে বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় অলস সময় পার করছে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আশুলিয়ার বেশিরভাগ কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন কোথাও চোখে পড়েনি, বরং সব গুলো কেন্দ্রের মাঠই ছিল ফাঁকা।
সাভারে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ফলে এই এলাকায় ভোটের আমেজ যেমন ছিল না, তেমনি ভোটার উপস্থিতিও কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আশুলিয়ার হাজী জয়নুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, গাজীরচট স্কুল এন্ড কলেজ, আলিয়া মাদরাসা ও দক্ষিণ বাইপাইল কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসব কেন্দ্রের একটিতেও ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি।
সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় একটি কেন্দ্রে গিয়ে ৬৪টি ভোট পড়ার তথ্য পাওয়া যায়। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭০০ এর বেশি বলে জানা যায়।
অন্যদিকে সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পুরো ফাঁকা মাঠ পরে থাকতে দেখা যায়। দুপুর ১টার দিকে আশুলিয়ার আলিয়া মাদরাসার মহিলা ভোটকেন্দ্রে গিয়েও একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, প্রথম চার ঘণ্টায় ভোটারদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাননি তারা। ভোটার সংখ্যা কম থাকায় অনেকটা অলস সময় পার করছেন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ অন্যান্যরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে সাভারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় ভোটের আমেজ ছিল না। পোস্টার, লিফলেট ও মাইকিং করে ভোট চাওয়ার চিরাচরিত নিয়মও তেমন ছিল না বললেই চলে। যার ফলে ভোটারদের অনেকেই জানেন না নির্বাচনের খবর।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বলেন, সাভারে যে পরিমাণ ভোটার সে অনুযায়ী উপস্থিত একে বারে কম। চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণায় ঘাটতি থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সময়ের সাথে বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
ইএইচ