চাটখিলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
চাটখিলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড এম আজাদ খান।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরপরই উপজেলার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন জোরপূর্বক তার এজেন্টদের বের করে দেন।

একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের লোকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারের সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজাদ খান অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বদলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা অবস্থায় একটি পুরো বই ব্যালট পেপার দেখতে পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবগত করে সাংবাদিকরা।

একই দৃশ্য দেখা যায়- সপ্তগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, পাল্লা মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, মেঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এছাড়া উপজেলার বেশিরভাগ কেন্দ্রে এভাবে দোয়াত কলমের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোটের উৎসব চলছে।

প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের ঘটনার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যেকয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।

ইএইচ